এম. এ. মান্নান : গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১১টা থেকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়া সহ বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবার (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) সারাদিন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে গত দু’দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফসলী জমি, পুকুর তলিয়ে গেছে। এমনকি ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী এলাকা। নালিতাবাড়ীর আমবাগান টু বারোমারী রোডে বেকিকুড়া ও পোড়াগাও এলাকায় মসজিদ মাদরাসায় পানি ঢুকে পড়েছে।
মানুষ চলাচলের রাস্তায় বুক সমান পানি। গৃহপালিত পশুর নিরাপদ আশ্রয় নেই কোথাও। শিশু, বৃদ্ধ ও মহিলাদের নিয়ে কে কোথায় উঠবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না। কেউ কেউ অঝর নয়নে কান্নাকাটি করছেন। বাড়িতে যেতে পারছেন না। সেখানে রোগী ও শিশুসহ অনেকে আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। তারা ইঞ্জিন চালিত নৌকা চাচ্ছেন। একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়াতেও বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে আক্রান্ত এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে। ফলে ব্যাটারি চালিত যানবাহনগুলো বসে পড়েছে। যে যেখানে গিয়েছিল সেখানেই আটকে আছে। চলাচলের জন্য পাচ্ছে না কোনো বাহন।
দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছেন। আশা করা যায়, হয়তো শীঘ্রই ত্রাণ সামগ্রীও পৌঁছতে পারে পানি বন্দী মানুষের কাছে।