1. admin@shwapnopratidin.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

রাসেল ভাইপার; প্রয়োজন সচেতনতা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ৪১ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: রাসেল ভাইপার নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমনকি গণমাধ্যমেও এতো বেশি লেখালেখি হয়েছে যা বলার বাইরে। তবে সবচে’ আতঙ্কের বিষয় হলো, এই সাপ নিয়ে সত্যের চেয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বেশি। ফলশ্রুতিতে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন, এমনকি বিভ্রান্ত হচ্ছেন।  এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, এ সাপ যদি এখন কাউকে কামড় দেয় তবে ভয়ে এমনিতেই সে মারা যাবে। শুধু শুধু ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোনো কারণ দেখছি না। সঠিক সময়ে এন্টিভেনম দিলে রোগী বাঁচবে তবে যেই জায়গায় কামড় দিয়েছে সেই জায়গাতে পচন ধরে বেশি দেরি হলে। আর রাসেল ভাইপার দূর থেকে কামড় দিতে আসে না। মানুষ এদের বেশি উত্যক্ত করলে এরা আগে প্রেশারকুকারের সিটির মত আওয়াজ করে মানুষকে সাবধান করতে থাকে। আর রাসেল ভাইপারের বিষ ৫/৬ ধরনের হয় না, এদের বিষ এক ধরনেরই আর সেটা হচ্ছে “হিমোটক্সিন” (হিমোটক্সিন লোহিত রক্তকণিকাকে ধ্বংস করে দেয়)।

মূলত কোনো সাপের এন্টিভেনমই বাংলাদেশে নাই, সবগুলো ভারত থেকে আনতে হয়। আর ভারতে সাধারণত সাপে কাটার পর যেই এন্টিভেনমটা দেওয়া হয় রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দিলেও সেটাই দেওয়া হয় সুতরাং এই সাপের এন্টিভেনম বাংলাদেশে আছে, আর ধরেন এখন কাউকে রাসেলস ভাইপার কামড় দিলে সে হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে বসে বসে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে থাকলো কারণ সে পোস্টে দেখেছে এই সাপে কামড় দিলে মানুষ বাঁচে না এবং এই সাপের এন্টিভেনমও নাই, তাই শুধু শুধু হাসপাতালে গিয়ে ওর কাজ নাই… পরবর্তীতে এই রোগীটা বাড়িতে থেকে মারা গেলে এই মৃত্যুর জন্য দ্বায়ী কে থাকবে? নিশ্চই আপনারা যারা এই রকম মিথ্যে তথ্য দিয়ে গণহারে পোস্ট করতেছেন, তারা?

তবে দেশে রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ে সুস্থ হওয়ার রেকর্ড অহরহ, দরকার হলো সতর্ককরণ। আর সাপ বেড়ে যাওয়ার কারণ আমরাই; ইকোসিস্টেম-এর সাপ খেকো বেঁজি, শিয়াল, পেঁচা, কচ্ছপ এগুলো ধ্বংস করে ফেলেছি এবং অহরহ ধ্বংস করছি।

তাই আসুন, নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি।

তথ্যসূত্র:- বিবিসি ও উইকিপিডিয়া।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ স্বপ্ন প্রতিদিন
Theme Customized By Shakil IT Park
error: Content is protected !!