1. admin@shwapnopratidin.com : admin :
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন

তারাকান্দা সাব রেজিঃ অফিসের প্রবীণ দলিল লেখক ইদ্রিস আলী সরকার-এর জানাজা অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪
  • ৬৪২ বার পঠিত

ইবনে জসীম উদ্দীন সরকার: ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী উপজেলাধীন চর খরিচা গ্রামের ইদ্রিস আলী সরকার (৭৫) গতকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ৯:৩০টায় ময়মনসিংহ মহানগরে ইন্তিকাল করেছেন। তিনি তারাকান্দা সাব রেজি: অফিসের দলিল লেখক ছিলেন। উল্লেখ্য গত ১৩ মার্চ ভোর বেলায় স্ট্রোক করায় ময়মনসিংহের সিবিএমসিবি-এর আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে মচিমহা-এর আইসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ১৬ মার্চ ইদ্রিস আলী সরকারকে ১৪নাম্বার ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সুস্থ হওয়ায় গত ২১ মার্চ ইদ্রিস আলী সরকারকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।
চর খরিচা বাজার মসজিদের সাবেক ইমাম ও খতিব; জামিয়া মাহমুদিয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া চর খরিচা-এর সাবেক শিক্ষা সচিব ও মুহাদ্দিস মাওলানা মোবারক হোসাইন বলেন, “যখন চর খরিচা বাজার মসজিদে মাওলানা নাজিম উদ্দীন সাহেব ইমাম; তখন উনার ছেলে হাফেজ নোমান ও আমার ছেলে বাজার মসজিদে খতমে তারাবীহ পড়াতো। তখন তিনি প্রতিদিন হাফেজদের খানা খাওয়াতেন। তিনি হাফেজদের-আলেমদের খুব কদর করতেন। তার বাড়িতে প্রতিদিন ৫জন ১০জন প্রতিদিন খানা খেতেন। প্রতি রমজানে উনার বাড়িতে হাফেজে কুরআন এক গ্লাস দুধ খেতেন”।
গাজীপুর পৈলানপুর মাদরাসার মুহতামিম; মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমার বড় খালু এমন একটা সময়ে ইন্তিকাল করেছেন যখন শুধু আমার মাদরাসায় নয়, এখানে এসে জানতে পারলাম অসংখ্য কুরআনের খতম হয়েছে।”
ঢাকা দক্ষিণ যাত্রাবাড়িস্থ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়ার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মাহদী হাসান বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টায় যখন আমি ছাত্রদের কুরআনে কারীমের সবক শুনছিলাম তখন মামার ইন্তিকালের সংবাদ শুনতে পাই। আমি যে কুরআনে কারীম পড়ছি এবং পড়াচ্ছি এসব কিছুর পেছনে মামার অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমিসহ আমাদের সহোদর চার ভাই মামার ঘরে ধারাবাহিকভাবে খানা খেয়ে হাফেজে কুরআন হয়েছি। আমরা কখনো উনার ঘরকে পরের ঘর মনে করি নি। নিজের ঘর মনে হতো।”
তারাকান্দা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসাইন সরকার বলেন, “উনি আপনাদের এলাকার সন্তান, কিন্তু উনার কর্মস্থল ছিল আমাদের তারাকান্দা সাব রেজি: অফিস ছিল। বিগত প্রায় ৪০ বছর যাবত উনি দলিল লেখায় কর্মরত ছিলেন। আমরা অনেক কিছু জানতাম না, পারতাম না, তিনি অভিভাবক হিসেবে, অনেক কিছু জানতেন পারতেন, দলিল লেখার কাজে আমাদের সাহায্য করতেন, আমাদের বলে দিতেন।” এছাড়াও মরহুম সম্পর্কে স্মৃতি চারণ করে আরো বক্তব্য রাখেন চর সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুদ্দীন আহমেদ (বকুল), বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাঈদ, তারাকান্দা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন সরকার, চর খরিচা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আবুল কাশেম (মরহুমের ভাতিজা), মরহুমের ভাতিজা মোঃ আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
মায়িতের বড় ছেলে মোঃ হুমায়ূন কবীর সকলের কাছে অনুরোধ করে বলেন, “যারা আমার পিতার কাছে পাওনাদার তারা আমাকে অনুগ্রহ করে জানাবেন। আমি সবার দেনা-পাওনা পরিশোধ করে দিবো ইনশা আল্লাহ। “

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ স্বপ্ন প্রতিদিন
Theme Customized By Shakil IT Park
error: Content is protected !!