স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ও ৩১নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থল জেলখানা ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নদী পারাপার হয়। প্রতিদিন ভোর রাত থেকে পুনরায় রাত ১টা পর্যন্ত মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে নদীর পাড়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় সূর্য উঠার সাথে সাথে বিভিন্ন ছাত্রাবাসে কর্মরত মহিলা, সব্জিওয়ালা, স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থী পারাপারে। নৌকা উপচে পড়া ভীড়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শীত/গ্রীষ্ম/বর্ষায় লোকজনকে নদী পার হতে হয়। অনেক সময় নদী পার হতে গিয়ে ৩০মিনিট এমনকি ৫০মিনিটও লেগে যায়। প্রায় সময় নৌকাডুবির মতোও ঘটনা ঘটে। উভয় পাড়ে পিচঢালা মসৃণ রাস্তা এবং যানজট কম থাকায় তারাকান্দা, ফুলপুর এবং সদর উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন এদিক দিয়ে নদী পার হয়ে থাকেন। ময়মনসিংহ সিটি পার্ক জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মাসুম বিল্লাহ সোহাগ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রাণের দাবি এ স্থানে একটি বেইলী ব্রীজ স্থাপন করে আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ এবং সুন্দর করা হোক”। ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খালিদ বিন মুসা বলেন, “আমরা সময় বাঁচানোর জন্য এ ঘাট দিয়ে নদী পার হই। কিন্তু সকাল ১০/১১ টা পর্যন্ত এতো ভীড় থাকে যে ২/৩ নৌকা মিস করি। ফলে ৫মিনিটের স্থলে অনেক সময় নদী পার হতে ৪০মিনিট লেগে যায়। একটি সেতু হলে আমাদের সময় প্রকৃতপক্ষে বেঁচে যেতো।” ময়মনসিংহ মহানগরীর মেছুয়া বাজারের ব্যবসায়ী সব্জি বিক্রেতা আইয়ূব আলী বলেন, “জেলখানা ঘাটে ফজরের আযানের সময় থেকে সকাল ৮/৯টা পর্যন্ত কৃষক টাটকা সব্জি নিয়ে আসেন। আমরা ভালো মানের সব্জি কেনার জন্য এখানে আসি। কিন্তু নদী পার হতে গিয়ে আমাদের প্রচুর সময় নষ্ট হয়। এ সব্জি অনেকেই শহরের বিভিন্ন বাজারে এবং বিভিন্ন রোডে ভ্রাম্যমাণ বিক্রি করেন। তাই এ দিক দিয়ে এ ঘাটে একটি সেতু হওয়া খুবই জরুরি।” ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৫নং সিরতা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ শাহজাহান মনির বলেন, “যদি জেলখানা ঘাটে ব্রীজ স্থাপন করা হয় তাহলে এ অঞ্চলসহ কয়েকটি উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শিত ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়িত হবে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্ণতা পাবে।”